শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪

নিউইয়র্কের রাস্তায় ‘শয়তানের বাচ্চা’!

disc4.jpgনিউইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তায় পথচারীরা হঠাৎ শিশুর কান্না শুনে থমকে দাঁড়ান। কেউ কেউ এগিয়ে গেছেন কৌতুহলে। কিন্তু তাদের ফিরতে হয়েছে বিস্ময় আর চমক নিয়ে। সেদিন একটি ট্রলিতে করে এভাবেই সকলকে চমকে দিতে পথে নেমেছিল ব্রিটিশ রূপকথার থিঙ্কমডো বা শয়তানের শিশু।ভয়ঙ্কর চেহারার এই ‘শয়তানের বাচ্চা’ কেবল চমকে দিয়েই ক্ষান্ত হয় না। তীব্র স্বরে কাঁদতে কাঁদতে গায়ের ওপর উগরে দেয় বমি। যা দেখে অনেকেরই পেট গুলিয়ে উঠবার কথা। শুধু তাই নয়, তার ট্রলিটি কারো নির্দেশ ছাড়াই যেন রাস্তার জিনিসপত্র উল্টে ফেলে একা একা এসে থামে পথচারীর সামনে। তারপর সদ্যজাত শিশুর মতো কান্না করতে থাকে আর তার মুখের ওপর থাকা কাপড়টি সরালেই বিপদ।
আসল ঘটনা হলো হলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত হরর মুভি ‘ডেভিলস ডিউ’-এর প্রচারণার কৌশল হিসেবেই এই শয়তানের বাচ্চাকে পথে নামানো হয়েছিল। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে চালিত ভয়ঙ্কর চেহারার এই বাচ্চা মূলত: সাধারণ পুতুল। এর রয়েছে মাথা ও চোখের পাতা নাড়ানোর এবং বমি করার ক্ষমতা। আর বমি বলতে যা দেখা যায় সেটি আসলে সাদা রঙ।
আর পুতুল তৈরি থেকে শুরু করে পুরো ব্যাপারটির পরিকল্পনা করেছেন মিখায়েল ক্রিভিকা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটি মজার সামাজিক গবেষণার জন্য তৈরি। যা দ্বারা দেখতে চেষ্টা করেছি একটা পরিত্যক্ত স্ট্রোলার দেখে কতজন কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে যায় এবং থিঙ্কমডোকে দেখে ভয় পায়।

স্থগিত হল সৌদি নারীদের চোখে চোখে রাখা

ls01-big.jpg সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের ভেতরের ও বিদেশে যাওয়া নারীদের চলাচলের উপর ইলেক্ট্রনিক নজরদারির জন্য একটি ব্যবস্থা চালু করে ২০১২ সালের নভেম্বরে। এর আওতায় দেশটির বর্ডার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নারীদের অভিভাবকদের এ সম্পর্কিত তথ্য এসএমএস করে পাঠাত। সম্প্রতি এ ট্র্যাকিং সার্ভিস স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
সৌদি নারীদের পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ। তবে এর ব্যতিক্রম হয় যদি ‘ইয়েলো শিট’ নামের একটি ফর্ম ফিলাপ করে অভিভাবক। সম্প্রতি এ ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমদ আল লাহিদান বলেন, ‘কিছু পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সিস্টেমটি স্থগিত করা হয়েছে এবং তা সংশোধন করা হচ্ছে।’ তিনি আরো জানান, এ সিস্টেমটিতে নতুন কিছু ব্যবস্থা যোগ করা হতে পারে।
লেফটেন্যান্ট লাহিদান আরো বলেন, ‘আগে এ সিস্টেমে শুধু রেজিস্টার্ড নামই অন্তর্ভুক্ত করা হতো। আগামীতে এটা ঐচ্ছিক করা হবে।
নারী অধিকার কর্মীরা এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও এর ভবিষ্যৎ সংশোধন এবং ‘ঐচ্ছিক’ ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সৌদি আরবের কঠোর আইনের আওতায় নারীদের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কর্মীরা। ২০১১ সালে দেশটিতে নারীদের ভোটাধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।